Caching (ক্যাশিং) একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা ওয়েব সার্ভিসে পারফরম্যান্স উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডেটার পুনরায় প্রক্রিয়াকরণ থেকে বিরত রাখে, ফলে সার্ভিসের রেসপন্স টাইম কমে এবং সার্ভারের লোড হ্রাস পায়। RESTful Web Services-এ ক্যাশিং ব্যবহার করা হলে, এটি সার্ভিসের দক্ষতা বৃদ্ধি করে, কারণ একবার পাওয়া ডেটা ক্যাশে সংরক্ষণ করা হয় এবং পরবর্তী রিকোয়েস্টে সেই ডেটা দ্রুত সরবরাহ করা হয়।
Apache CXF এবং অন্যান্য RESTful ফ্রেমওয়ার্কে ক্যাশিং ইমপ্লিমেন্টেশনের জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং টেকনিক্স ব্যবহার করা হয়। RESTful সার্ভিসে ক্যাশিং প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে, কিন্তু সঠিকভাবে কনফিগার না করলে এটি ডেটার স্ট্যালিকনেস (stale data) বা অপ্রত্যাশিত আচরণ তৈরি করতে পারে।
HTTP ক্যাশিং একটি জনপ্রিয় কৌশল যা RESTful Web Services-এ ব্যবহৃত হয়। HTTP প্রোটোকলের কিছু হেডার যেমন Cache-Control, ETag, এবং Last-Modified ক্যাশিং মেকানিজমের মাধ্যমে রেসপন্সে ক্যাশিং কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে।
Cache-Control হেডার HTTP রেসপন্সে ক্যাশিং কন্ট্রোল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি নির্দেশ করে যে ডেটা কতটা সময়ের জন্য ক্যাশে সংরক্ষণ করা যাবে এবং কী ধরনের ক্যাশিং কৌশল ব্যবহার করা হবে।
উদাহরণ:
Cache-Control: public, max-age=3600
এখানে public
মানে সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট উভয়ই ক্যাশ করতে পারবে এবং max-age=3600
মানে ডেটা ১ ঘণ্টা (৩৬০০ সেকেন্ড) পর্যন্ত ক্যাশ থাকবে।
ETag হেডারটি রিসোর্সের একটি ইউনিক আইডেন্টিফায়ার প্রদান করে যা সার্ভারের তরফ থেকে ক্লায়েন্টকে পাঠানো হয়। ক্লায়েন্ট যখন একই রিসোর্স আবার রিকোয়েস্ট করে, তখন সে তার ETag পাঠায়। যদি রিসোর্স পরিবর্তিত না হয়ে থাকে, তাহলে সার্ভার 304 (Not Modified) স্ট্যাটাস কোড ফেরত দেয় এবং রেসপন্সের কন্টেন্ট পাঠায় না। এর ফলে ব্যান্ডউইথ সেভ হয়।
উদাহরণ:
ETag: "12345"
Last-Modified হেডারটি রিসোর্সের শেষ পরিবর্তনের সময় নির্দিষ্ট করে। যখন ক্লায়েন্ট আগের রিসোর্স রিকোয়েস্ট করে, সার্ভার এই হেডারের মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে জানায় যে রিসোর্সটি সর্বশেষ কখন আপডেট হয়েছে।
উদাহরণ:
Last-Modified: Tue, 15 Nov 2022 12:45:26 GMT
ক্লায়েন্ট সাইড ক্যাশিং, বিশেষ করে ব্রাউজারে ক্যাশ করা ডেটা ব্যবহার করা, RESTful সার্ভিসে কার্যকর হতে পারে, কারণ এতে সার্ভারের উপর কম চাপ পড়ে। RESTful API-এর রেসপন্সে Cache-Control, ETag, Last-Modified হেডার ব্যবহার করে আপনি ক্লায়েন্ট সাইডে ক্যাশিং পরিচালনা করতে পারেন।
ব্রাউজার ক্যাশিংয়ে, সাধারণত Cache-Control হেডার এবং অন্যান্য HTTP হেডার যেমন Expires ব্যবহার করা হয়, যাতে ব্রাউজার ক্যাশে ডেটা সংরক্ষণ করে এবং পরবর্তী রিকোয়েস্টে রিসোর্সটি সার্ভার থেকে আবার রিকোয়েস্ট না করে।
উদাহরণ:
Cache-Control: max-age=86400, public
এটি নির্দেশ করে যে ডেটা ২৪ ঘণ্টা (৮৬৪০০ সেকেন্ড) পর্যন্ত ক্যাশে থাকবে এবং পাবলিকভাবে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে।
সার্ভার সাইড ক্যাশিং সাধারণত ডেটাবেস বা অন্যান্য সিস্টেম থেকে ডেটা লোড করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যাতে সার্ভার রিকোয়েস্টের প্রতি সাড়া দেওয়ার সময় আরও দ্রুত হয়। এটি সাধারণত in-memory caching (যেমন, Redis, Memcached) বা file-based caching এর মাধ্যমে করা হয়।
এটি সার্ভারে ডেটার একটি কপি রাখে এবং যখন একটি নতুন রিকোয়েস্ট আসে, তখন ডেটা ক্যাশ থেকে সরবরাহ করা হয়। Redis বা Memcached এর মতো ক্যাশিং সিস্টেমে ডেটা দ্রুত পাওয়া যায়, কারণ এটি RAM-এ থাকে।
উদাহরণ:
public String getDataFromCacheOrDatabase(String key) {
String cachedData = redisCache.get(key);
if (cachedData != null) {
return cachedData; // ক্যাশ থেকে ডেটা
} else {
String data = database.getData(key); // ডাটাবেস থেকে ডেটা
redisCache.put(key, data); // ক্যাশে সেভ করা
return data;
}
}
ফাইল বেসড ক্যাশিংয়ে সার্ভার বা ওয়েব সার্ভিস থেকে ডেটা যখন প্রথমবার রিকোয়েস্ট করা হয়, তখন তা ফাইলে সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তী রিকোয়েস্টে সেই ফাইল থেকে ডেটা রিটার্ন করা হয়, যা সার্ভার রিকোয়েস্টের প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়।
ক্যাশ অবৈধকরণ হল সেই প্রক্রিয়া যেখানে ক্যাশে রাখা ডেটা নির্দিষ্ট সময় পরে বা কিছু পরিবর্তনের পর অবৈধ হয়ে যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, কারণ সঠিক সময়ের পর ক্যাশে থাকা পুরনো বা স্ট্যাল (stale) ডেটা আর ব্যবহারযোগ্য নয়।
উদাহরণ:
max-age
বা expires
হেডার ব্যবহার করা)।Distributed Caching বিশেষত বড় অ্যাপ্লিকেশন এবং মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচারে ব্যবহৃত হয়, যেখানে একাধিক সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট একসাথে কাজ করে। এতে ক্যাশিং একাধিক সার্ভারে বিতরণ করা হয়, যাতে এক সার্ভারে পরিবর্তন হলে তা অন্য সার্ভারে সিঙ্ক্রোনাইজ করা যায়।
Redis এবং Hazelcast এধরনের ক্যাশিং সিস্টেমের উদাহরণ।
Caching একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল যা RESTful Web Services-এর পারফরম্যান্স উন্নত করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন ক্যাশিং টেকনিক যেমন HTTP ক্যাশিং, ক্লায়েন্ট সাইড ক্যাশিং, সার্ভার সাইড ক্যাশিং এবং ডিসট্রিবিউটেড ক্যাশিং ব্যবহার করা হয়। সঠিকভাবে ক্যাশিং কনফিগার করলে সার্ভিসের রেসপন্স টাইম কমে, সার্ভারের লোড হ্রাস পায় এবং ব্যান্ডউইথ সেভ হয়।